শরতের আকাশে প্রস্ফুটিত মেঘ, শুভ্র পালকে আবৃত কবুতর কিংবা ঝিলের স্বচ্ছ পানিতে ফোটা সাদা শাপলা কল্পনায় আনলেই মানবমস্তিষ্ক হারিয়ে যায় স্বস্তির এক মঙ্গলভুবনে, যেখানে নেই কোনো কলুষ বা গ্লানির তিক্ততা- স্বস্তির এই বিচিত্র দুনিয়ার অপর নামই 'শান্তি'।
আজ ২১শে সেপ্টেম্বর, বিশ্ব শান্তি দিবস। বিশ্বের সকল দেশের ও নাগরিকদের মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে এবং জাতিগত বিভেদ ও বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে যুদ্ধ- বিগ্রহ চিরতরে নিরসনের লক্ষ্যে প্রতিবছর জাতিসংঘ এ দিবসটি পালন করে থাকে।
উনবিংশ শতাব্দীতে ঘটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে বর্তমানকালের রাশিয়া- ইউক্রেন কিংবা ইসরায়েল- ফিলিস্তিনে চলমান যুদ্ধের নৃশংসতা ও ভয়াবহতাই শান্তি প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলে। শুধু বহির্বিশ্বেই নয়, বাংলাদেশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্থানে, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে শিক্ষার্থীদের হাতে প্রাণ হারায় নিরীহ মানুষ, নির্বিচারে হামলার শিকার হয় পাহাড়ে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা। আজকের বিশ্বকে দ্বন্দ্ব এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য যেখানে জটিলভাবে আচ্ছাদিত করে আছে, সেখানে নৈতিক বাধ্যবাধকতা ও টেকসই উন্নয়নের মূলমন্ত্রই হলো শান্তির অন্বেষণ। তাই, এবছর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের প্রতিপাদ্য হলো-
'শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তোলা'
যতোদিন শান্তিকে একটি সাংস্কৃতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অনুশীলনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না হবে, ততদিন এটি বিমূর্তই থেকে যাবে। তাই, শান্তির ধারণা প্রতিষ্ঠায় ছোটবেলা থেকেই সকলের মধ্যে নৈতিক আলোচনা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। শান্তির এই সাংস্কৃতিক বিস্তৃতিতে সংঘাত ও সহিংসতামুক্ত সম্প্রীতিময় এক পৃথিবীর পরিচয় ঘটুক- বিশ্ব শান্তি দিবসে এটিই KIN এর প্রত্যাশা।