আজ ১১ই জুলাই, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। জনসংখ্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ১৯৮৯ সাল থেকে প্রতিবছর জাতিসংঘের উদ্যোগে দিনটি বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য-
'To leave no one behind, count everyone'
অর্থাৎ কাউকে পেছনে ফেলে নয়, বরং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একসাথে এগিয়ে যেতে হবে।
জনসংখ্যা কোনো দেশের জন্য সম্পদ, আবার কোনো দেশের জন্য বোঝা। তবে প্রযুক্তি ও উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার সহায়তায় দক্ষতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে অতিরিক্ত জনসংখ্যা সম্পদে পরিণত করা সম্ভব।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দিকে তাকালে দেখা যায় অপুষ্টি‚ পর্যাপ্ত শিক্ষার অভাব‚ বেকারত্ব‚ চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতা প্রভৃতি সকল কিছুর মূলে রয়েছে অতিরিক্ত জনসংখ্যা। জনসংখ্যা বিষয়ক এ সমস্যাগুলো সম্পর্কে সকলকে অবহিত করা এবং গুরুত্ব সহকারে সেগুলো সমাধানের প্রচেষ্টা করাই হলো দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটি সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে যুক্ত হচ্ছে আরও নতুন নতুন সমস্যা। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য যে‚ প্রতিদিন বিশ্বে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ খাদ্যাভ্যাস ও অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করছে। এছাড়া সুপেয় পানির অপর্যাপ্ততা‚ বাতাসের বিষাক্ততা‚ বাসস্থানের সমস্যা, ওজোন লেয়ার ধ্বংসসহ বহু বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্ব। সাথে যুক্ত হয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। যার মূলেও রয়েছে এই জনসংখ্যা বৃদ্ধি। তবে অধিক জনসংখ্যার নেতিবাচক দিকের পাশাপাশি কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। চীনসহ বিশ্বের বেশকিছু দেশ তাদের বিশাল জনসংখ্যাকে কাজে লাগিয়ে আজ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
সমানভাবে সকলের মেধা‚ জ্ঞান এবং দক্ষতাকে সমাজ বিনির্মাণের পুঁজি হিসেবে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হোক আগামীর বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা– বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে এটাই KIN এর প্রত্যাশা।